সুলতান মনসুরকে এক হাত নিলেন আ’লীগ নেতারা

মৌলভীবাজার-২ আসনের মহাজোটের মনোনীত প্রার্থী ও ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক সাংসদ এম এম শাহীনের পক্ষে অনুষ্ঠিত হয় বিশাল সমাবেশ। বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় কুলাউড়া ডাকবাংলা মাঠে অনুষ্ঠিত এ সভায় অংশ নেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের হাজার-হাজার নেতা-কর্মী।

নৌকার বিষয় সুনিশ্চিত করতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানানোর পাশাপাশি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা সুলতান মনসুরের এক হাত নিলেন বক্তারা। সাথে স্বাধীনতা বিরোধীদের জবাব দিতে নৌকায় ভোট চেয়ে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দেন এসব নেতা।

কুলাউড়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আজিজুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন মহাজোটের প্রার্থী এমএম শাহীন, মৌলভীবাজার জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান ফজলু, কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পরিষদের চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম,

কুলাউড়া উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুক্তাদির তোফায়েল, আ’লীগ নেতা গৌরা দে, কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র শফি আলম ইউনুছ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারীনেত্রী নেহার বেগম, জাসদ (আম্বিয়া) সভাপতি মইনুল ইসলাম শামীম, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ, জাসদ (ইনু) নেতা আশিকুর রহমান ফটিক, আ’লীগ নেতা অরবিন্দু ঘোষ বিন্দু, কেন্দ্রিয় কৃষক লীগ নেতা শফি আলম শফি প্রমূখ,

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আজিজুর রহমান বলেন, ’নৌকা শুধু দলের প্রতিক নয়, নৌকা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিক। এই দেশকে বেঈমানদের হাত থেকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনার প্রার্থীদেরকে বিজয়ী করতে হবে।’ সুলতান মনসুরকে ইঙ্গিত করে সাবেক এ হুইপ বলেন,‘কুলাউড়ায় প্রতারকদের কোন স্থান নেই। শাহীনকে আপনাদের কাছে সমজিয়ে দিলাম। ৩০ তারিখ বিজয়ী করে দিয়েন।’

মহাজোটের প্রার্থী ও ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক সাংসদ এমএম শাহীন বলেন,‘সুলতান মনসুর নুন খেয়ে নিমুহারামী করেছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যার সাথে। ১/১১ বঙ্গবন্ধুর কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন।’ সুলতান মনসুরের পোস্টারের সমালোচনা করে শাহীন বলেন, ‘সুলতান মনসুর প্রতারণা করে মানুষকে ঠকাচ্ছেন, এক ভোটে দুই এমপি হয়ে গেল ১০বছরে কুলাউড়ার আসেননি।’

মৌলভীবাজার-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সাবেক এ সাংসদ বলেন, ‘উন্নয়নের মহাসড়কে অংশ নিতে হলে কুলাউড়ায় নৌকাকে বিজয়ী করার কোন বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার উন্নয়নের কারণে বিশে^ আজ বাংলাদেশ সুনাম অর্জন করেছে।’

কুলাউড়া উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন,‘সুলতান মনসুর জামায়াতে চলে গেছেন।’

মৌলভীবাজার জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র ফজলুল রহমান,‘সুলতান মনসুরকে প্রধানমন্ত্রী লালন-পালন করেছেন। ডাকসুর ভিপি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি বানিয়েছিলেন, এর পরিনামে সুলতান মনসুর প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন।’ আগামী ৩০ ডিসেম্বর মহাজোটের প্রার্থী এম এম শাহীনকে বিজয়ী করার আহব্বান জানান তিনি।

সাবেক সাংসদ আব্দুল জব্বারের ছেলে কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসম কামরুল বলেন,‘২১ আগস্ট খুনিদের সাথে হাত মিলিয়েছেন। শেখ হাসিনার নৌকা ভাঙতে চান সুলতান মনসুর। মুজিব কোট পরে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।’ ষড়ন্ত্রের দাত ভাংগা জবাব দিবে নৌকায় ভোট চান তিনি।

আ’লীগ নেতা অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে নৌকার বিজয় শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। এতে আরও উন্নয়ন হবে। ৫৭০ কোটি নয় (সুলতান মনসুরের সময়কার উন্নয়ন), আমাদের বর্তমান এমপি আব্দুল মতিন সাড়ে ২২শত কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন কুলাউড়ায়। আওয়ামীলীগ ছিল বলেই তিনি (সুলতান মনসুর) ৫৭০ কোটি টাকার উন্নয়ন করতে পেরেছেন। যদি উন্নয়ন চান। ৩০ ডিসেম্বর নৌকায় ভোট দিন।’